অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ নারীদের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বলছে বাংলাদেশে ২০১৬ সালে এক হাজারেরও বেশি নারী ও কন্যা শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নামের সংগঠনটি নারীদের উপর নির্যাতনের ‘নির্মম ও নিষ্ঠুর’ ধরণকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে বর্ণনা করেছে।
বাংলাদেশের ১৪ টি দৈনিক পত্রিকার খবর বিশ্লেষণ করে সংগঠনটি বলছে ২০১৬ সালে ১০৫০ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তারা বলছে, আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা কিছুটা কম হলেও ধর্ষণ, নির্যাতনের ধরণ ছিলো নির্মম ও নিষ্ঠুর।
এ ঘটনাগুলোকে ‘ধর্ষণ, গণধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যা’ এই তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে।
নারী ও কন্যা শিশুদের উপর নির্যাতনের বাৎসরিক এই প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, আগের বছরের তুলনায় সংখ্যা কিছুটা কমেছে, তবে সংগঠনটির সভাপতি আয়েশা খানম বলছিলেন সংখ্যা কম বেশির চেয়ে বেশি উদ্বেগের ছিল নির্যাতনের ধরণ ও মাত্রা নিয়ে।
বাংলাদেশে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা নতুন নয়, তবে সাম্পতিক সময়ে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতেও।
পত্রিকায় উল্লেখিত ঘটনাগুলোর অনুসন্ধান করতে যেয়ে মহিলা পরিষদ বলছে, অনেক গুলো ঘটনার ক্ষেত্রে এলাকাবাসীরা অভিযুক্তকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন।
এর আগে বেসরকারি একটি পরিসংখ্যান বলা হয়েছিল বাংলাদেশে ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০০-র বেশি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
সম্প্রতি শিশু ধর্ষণের কয়েকটি ঘটনা আলোড়ন তুলেছিল। আর বরাবরের মতই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে দায়ী করেছিল অনেকে।
বাংলাদেশে নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলছিলেন, যেসব নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে সেগুলো বেশির ভাগ আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
বাংলাদেশে ধর্ষণের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আর ধর্ষণের কারণে মৃত্যু হলে তাতে মুত্যুদন্ডের বিধানও রয়েছে।